সারা দেশ
Hits: 1022
সুইমিং পুলে দুটি মানুষ সাঁতার কাটছে, এটা যেন হংস-হংসী। স্বল্পকাপড় পরিহিতা যুবতী। পাতলা, লম্বা, শ্যাম চেহারার মেয়েটির আনন্দের যেন কোনো শেষ নেই। প্রেমিকের সাথে বেড়াতে এসেছেন বলে কথা। ঢাকা হতে সিলেট। দুজন শাহজালাল শহরতলির একটি তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন। প্রেমিকের নাম জুয়েল মাহবুব। যদিও চেহারা দীর্ঘ নয়, কিন্তু দেখতে বেশ সুদর্শন। অনেকটা বলিউডের নায়কের মতো। যুবতীর নাম তাহমিনা তাবাসসুম। একটি বেসরকারী মেডিকেল ডাক্তার। জুয়েল বারবার পুল হতে উপরে উঠে তার প্রেমিকার ছবি এবং ভিডিও করে। কখনও বা তুলছেন সেলফি। ডাঃ তাহমিনা বু’/কের সাথে নিয়ে ক্যামেরা তা’ক করেও নিয়ে চলেছেন যত ইচ্ছা তত সেলফি। তিনি তখন ভিজা পোশাকে চ’/র’ম আবেদনম’য়ী।
এটাই শেষ নয়। চা বাগান এবং ইকোপার্কে গিয়ে তুলে নেয় অসংখ্য ছবি। তাহমিনা অবাক হয়ে অনেকটা রোমান্টিক সুরে কয়েকবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি ছবি এবং ভিডিও নিয়ে এত পা’গলা’/মী করছো কেন? জুয়েল সে সময় সহজ উত্তর দেয়, আমার তোমার সাথে ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে খুব ভালো লাগছে। তুমি যে সময় পাশে থাকবে না, তখন এগুলি দেখতে পাবো।
ওই হোটেলে থাকাকালে যে ভিডিও ধারণ করা হয় তা নীল ছবির চেয়েও কম না। শেষ পর্যন্ত ওই ডাক্তার মেয়েটির অ’/ভি’/যোগের প্রেক্ষিতে মিরপুর থেকে গ্রে’/প্তা’/র করা হয় জুয়েল মাহবুবকে। উ’/দ্ধা’র করা হয় হাজার হাজার ছবি ও কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ। পু’/লি’/শের জি’/জ্ঞা’/সাবাদে পুরো বর্ণনা দিয়েছে জুয়েল।
প্রথম দেখাতেই সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিলেন জুয়েল-তাহমিনা। তিন রাত ছিলেন ওই তারকা হোটেলে। সেখানেই নীল ছবির স্টাইলে বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিওগুলোর বেশিরভাগই গো’/প’ন ক্যামেরায় ধারণকৃত। অবশ্য দু’জনের দেখা হওয়ার আগেই নীল ছবি বিষয়ে জুয়েল বেশ শিখিয়েছে তাহমিনাকে। ভার্চুয়াল শিক্ষা। চ্যাট করতো রাতভর। কথা হতো অডিও, ভিডিও কলে। তারপর দুপুর পর্যন্ত ঘুম। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে ঐ ধরনের ভিডিও পাঠাতো জুয়েল। পাঠাতো এ ধরণের ছবি। শুরুতে তাহমিনা ব/কা দিতেন খুব। তবুও থামতো না জুয়েল। যদিও কৌ’তূহ/ল ছিলো তাহমিনারও। এভাবেই প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠেন এই ডাক্তার।
দেখা না হলেও ততদিনে তাদের সম্পর্ক বেশ গভীর। কথায় কথায় উ’/ত্তে’জ’/না সৃষ্টি করতো জুয়েল। পরিচয়টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বেশ কয়েক বছর আগে। ফেসবুকের ছবি দেখইে একে-অন্যকে পছন্দ করেন। ঢাকার ইন্দিরা রোডের এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জুয়েল। ব্যবসায়িক সুবিধার কারণে পরিবারের সঙ্গে থাকেন উত্তরা। সেখানে গাড়ির ব্যবসা রয়েছে তার। প্রায়ই ছুটে যান বিভিন্ন দেশে। এই ব্যস্ততার মধ্যেই যত্ন করে সময় দেন তাহমিনাকে। এমনটিই জানতেন ডাক্তার তাহমিনা।
তাহমিনা তখন ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। চু’/টি’য়ে প্রেম বা লং ড্রাইভ.. সবকিছুতেই দু’জনের প্র’/চ’ন্ড আগ্রহ। কিন্তু শর্ত দিয়ে দেন জুয়েল। প্রথম দেখাতেই স্বামী-স্ত্রীর মতো সময় কা/টাবেন। একদম হানিমুন বলা যায়। সেটা ঢাকার বাইরে কোথাও। তারপরও অন্যকিছু।
আমতা আমতা করছিলেন তাহমিনা। এটা কিভাবে সম্ভব। চ/তুর জুয়েল বুঝিয়ে সম্মতি আদায় করেন। ঘটনাটি ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। কথানুসারেই দেখা হয় এক সকালে। দু’জনের সঙ্গে দুটি ব্যাগ। রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা সেরে সোজা বিমানবন্দর। তারপর পৌঁছে যান সিলেটে। সেখানে হোটেল কক্ষে যাওয়ার পর ফ্রেশ হওয়ার আগেই শুরু হয় জুয়েলের ভালোবাসার অ’/ত্যা’/চা/র। অবশ্য তার আগেই মাথায় হাত রেখে জুয়েলের প্রতিশ্রুতি নেন তাহমিনা। শিগরিই বিয়ে করবেন তারা। কখনও একে-অন্যকে ছেড়ে যাবেন না ইত্যাদি। তাহমিনা যেনো স্বপ্নের রাজ্যে। উদার মনে নিজেকে উ’/জা’ড় করে দেন। এভাবে একে একে তিন রাত। ফিরে যাবেন তারা। এরমধ্যেই ঘটে ঘটনাটি।
জুয়েল তখন ওয়াশ রুমে। সময় কম। দ্রুত বিমানবন্দর যেতে হবে। আজই ফিরতে হবে ঢাকায়। জুয়েলের ফোনটি বাজছিলো বেশ কয়েকবার। এর আগেও এরকম অনেকবার কল এসেছে কিন্তু তাহমিনা রিসিভ করেননি। এবার আনমনেই কলটি রিসিভ করেন। ওই প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে একটি নারী কণ্ঠ। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জুয়েলের স্ত্রী বলছি। আপনি কে?
ডাক্তার তাহমিনা হ’/তভ’/ম্ব। যেনো মাথার ওপর আকাশটা ভে’/ঙ্গে পড়ছে। আর স’/হ্য করা সম্ভব হয়নি। লাইন কেটে দেন চিকিৎসক তরুণী। যদিও তখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যেই ছিলেন তিনি। মনে হচ্ছিলো কেউ হয়তো মজা করছে। জুয়েলের কোন বান্ধবী হতে পারে। তবুও বি’/ম’/র্ষ চে’হা/রা, দ/’গ্ধ মন নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। পথে, বিমানে বারবার জুয়েল জানতে চেয়েছে কি হলো? নিশ্চুপ তাহমিনা। বিমানে ওঠার আগে জুয়েলের ফোনটি বারবার বাজছিলো কিন্তু রিসিভ করেনি। এতে তাহমিনা নিশ্চিত হয়ে যান তিনি এক প্র’/তা/রকের খ’/প্প’ড়ে পড়েছেন।
বিষয়টি আরও যাচাই করতে ঢাকায় ফিরে জুয়েলের এক বন্ধুকে মেসেঞ্জারে কল দেন। যার সঙ্গে এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই পরিচয়। স’/ন্দে’/হের সত্যতা পান তরুণী। তার প্রেমিক বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। মি/’থ্যা পরিচয়েই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিলো তাদের।
চিকিৎসক তরুণী বেশ কয়েকদিন ফোন বন্ধ করে বাসায় ব’/ন্দি জীবন কা’টান। ফোনটি খোলার পর প্রেমিকের কল। তিনি সম্পর্ক রাখতে চান। বিয়ের দরকার নেই। তরুণী জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা সম্ভব না।
তারপর থেকেই হু’/ম’/কি-ধ’/ম’কি দিতে থাকে ছেলেটি। ফোনে, মেসেঞ্জারে একই হু’/ম’/কি। সম্পর্ক না রাখলে অ’/ন্ত’/র’ঙ্গ মুহূর্তের ছবি, ভিডিওগুলো ফে’সবু/কে, ইউটিউবে ছ’/ড়িয়ে দেয়া হবে। ফোন, ফে’সবু/ক ব/ন্ধ রাখেন। ডাক্তার তাহমিনা ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে চলে যান। সেখানেও শান্তি নেই। স্ব/স্তি নেই। ঠিকানা সংগ্রহ করে হাজির হয় জুয়েল। যে কোনোভাবে এই তরুণীকে তার চাই।
শেষ পর্যন্ত যু/বতী সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা চেয়ে নাম লেখালেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবকের অবস্থান চিহ্নিত করার পরে তাকে গ্রে’/ফ/তার করা হয়। ফ’টো, ভিডিও জ/’ব্দ করা হয়েছে। তদ’/ন্ত/কারীরা বলছেন যে এই প্র’/তা/রণাকারী বেশ কয়েকজন যুবতী এবং মহিলার সাথে প্র’/তা’/রণা করেছে। সে নিজের পরিচয় আ/ড়াল করার মাধ্যমে মি/’থ্যা প’রিচয় দিয়ে মেয়েদের সাথে সম্পর্কে জ’/ড়ি’ত হয়ে ভো’/গ করতো। সে কয়েক জনের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা আ’/দা’/য় করেছে।
নাজমুল ইসলাম যিনি সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-পু’/লি’/শ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, এ জাতীয় অনেক ঘটনা ঘটছে আমাদের চারপাশে। আমরা অ’/ভি’/যুক্তকে গ্রে’/প্তা’/র করে ভু’/ক্ত’ভো/’গীকে সুরক্ষা প্রদান করেছি। আমরা শুধু মা’/ম’/লার বিষয়ে নয় এ ছাড়াও অনেককে সহযোগিতা করে থাকি। এই বিষয়ের পর ’অ’/ভি’যোগকারীদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই মা’/ম’/লা করতে চায়। তিনি বলেছিলেন যে এই রকম মেয়েদের হার ৩০ শতাংশের বেশি নয়।