সারা দেশ
Hits: 1086
পুরানো মোবাইল কেনার বি’/প’দ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। তবে একেবারে নতুন একটি মোবাইল ফোন মোবাইল শপ হতে কিনে এবং বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই ডিবি পু’/লি’/শ জি’/জ্ঞা’সাবা/দের মু’খে পড়েছেন- এই ধরনের ঘটনা কেউ কখনো প্র’/ত্যা’শা করবে না। সম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশে এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। পরে তাদের ভু/ল বুঝতে পারার পরে ক্ষ’/তি’গ্র/স্থ ক্রেতারা মোবাইল ফোন ঢাকা মহানগর পু’/লি’/শের ডিবি অফিসে ফেরৎ দেয়।
রাজধানীর ফার্মগেটে বসবাসরত আশিক মাহমুদ নামের একজন ব্যবসায়ী। মোবাইল বাজার হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত মোতালেব প্লাজা হতে ’ভিভো ওয়াই ২০’ সিরিজের একটি মোবা’ইল সেট কিনে আনে। মোবাইলে সিম ঢুকিয়েই চালু করতে তাকে গোয়েন্দা পু’/লি’/শের অ’ফিস থেকে ফোন করা হলো। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি চু’/রি হওয়া মোবাইল ফোন কি’নে নিয়েছেন এবং মা’/ম’/লার প্রমাণ হিসাবে তাকে ফো’ন জ’মা দিতে হবে। ছোট ব্যবসায়ী আশিক বুঝতে পারে যে তিনি মোবাইল ফোন কেনার পর প্র’/তা’/রিত হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি ডিবি অফিসে যাওয়ার পর মোবাইল দিয়ে আসেন।
গত সপ্তাহে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে গো’য়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অ’/বৈ’ধ অ’/স্ত্র’ উদ্ধার ও মা’/দ’/ক নিয়ন্ত্রণ টিম জানতে পারে, মগবাজারে চোরাই মোবাইল বিক্রেতা সি’ন্ডি/কেট এক পার্টির জন্য অপেক্ষা করছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ১১ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন প্যাকেট করা অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ চারজন ব্যক্তিকে আ’/ট’/ক করে পু’/লি’/শ। পরবর্তীতে এই ঘটনায় রমনা মডেল থা’/না’য় ডিবি পু’/লি’/শ বা’/দী হয়ে পেনাল কোড ৪১৩ ধা’/রা’য় একটি মা’/ম’/লা দা’/য়ের করে। মা’/ম’/লার আ’/সা’/মিরা হলেন মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম সবুজ এবং প’/লা’/তক হাসমত আলী।
এর আগে এই চ’ক্র/ই কৌশলে চো’/রা’ই মোবাইল সংগ্রহ করে মোতালেব প্লাজায় বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে। পরবর্তীতে পু’/লি’/শ সেসব দোকানে অ’ভি/যান চালিয়ে মোবাইলগুলো জ’/ব্দ করে।
জানতে চাইলে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অ’বৈ/ধ অ’/স্ত্র’ উ’দ্ধার ও মা’/’দ/’ক নিয়ন্ত্রণ টিমে সিনিয়র সহকারী পু’/লি’/শ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গনামধ্যমকে বলেন, আমরা মা’/ম’/লাটি নিয়ে কাজ করছি। প’/লা’/তক হাসমত আলীসহ এই চ’/ক্রের আর যারা যারা আছেন তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
চো’/রাই মোবাইল যেভাবে আসে সি’ন্ডিকে/টের হাতে
আ’/সা’/মিদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পু’/লি’/শ জানতে পারে, তারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন জায়গা থেকে চো’/রা’/ই মোবাইল কিনে থাকেন এবং সেগুলো রাজধানীসহ মোবাইলের বিভিন্ন ভালো মার্কেটে বিক্রি করেন।
সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের উপজেলায় শোভন ইলেকট্রনিক্স নামের একটি দোকানের তা’লা ভে/’ঙে বিভিন্ন ব্র্যা’ন্ডের ৩৫ টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন চু’/রি হয়। মগবাজারে উ’/দ্ধা’রকৃত মোবাইলের আইএমইআই নাম্বারে সঙ্গে টাঙ্গাইলের দোকান থেকে চু’/রি হওয়া ওই ৩৫ মোবাইলের আইএমইআই না’ম্বার মিলে যায়। আশিক মাহমুদের ফোনও তার মধ্যে একটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আ’/সা’/মি আরও জানায়, ৩৫ টি মোবাইলের মধ্যে ঢাকাতে ২০ টি এবং ঢাকার বাইরে অন্য শহরেও বি’ক্রি করা হয়। দুই হাত বদল করে মোবাইলগুলো তাদের কাছে এসে পৌঁছায়।
আশিক মাহমুদ নামের এই ব্যক্তি যেভাবে প্র’/তা’/রিত হয়েছেন ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় শরীয়ত’পুর, গাজী’পুর, নারা’য়ণগঞ্জ ও নাটোর থেকে ডিবি আরো বেশ কিছু মোবাইল ফোন উ’দ্ধা/র করতে পেরেছে। এগুলি চু’/রি হওয়া ৩৫ টি মোবাইল ফোনের আইএমইআই তালিকার মোবাইল ফোন।
শোভন আহমেদ নামের যিনি শোভন ইলেকট্রনিক্সের ক’র্ণধা/র তিনি জানিয়েছেন,, তাঁর দোকান কিছুদিন আগে চু’/রি হয়, এবং চো’/রে’/রা তালা ভে’/ঙে ৩৫ টির মতো মোবাইল চু’/রি করে। এ ঘটনার পরে আমি থা’/না’তে গিয়ে একটি চু’/রি’র মা’/ম’/লা দা’/য়ের করি। সমস্ত মোবাইলগুলির আইএমইআই নম্বর আমার নিকট লেখা ছিল। শুনেছি ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় আমার সেই আইএমইআই নম্বরের ফোন উ’দ্ধার হয়েছে।