মুক্তমত
Hits: 295
সাম্প্রতিক সময়ে হলমার্ক ঋন কে’/লে’ঙ্কা/’রির বিষয়ে কা’/রা’গা’/রে থাকা তুষারের ঘু’ষের মাধ্যমে কা’/রা অভ্যান্তরে মহিলার সাথে একান্তে সময় কা’টানোর বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী তো’/ল’পা’/ড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের বি’/রু’/দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আরম্ভ হয়েছে। অনৈতিক লেনদেন করার মাধ্যমে আইন ল’/ঙ্ঘ’/নের জন্য কা’/রা’গা’/রে মহিলা সঙ্গ নিয়ে যে সমা’/লো’চনার সৃষ্টি হয়েছে সেটা ন্যায়সঙ্গত। তবে বিশিষ্ট ইসলামী পন্ডিত শায়খ আহমাদুল্লাহ মতামত দিয়েছেন যে, কা’/রা’গা’/রে যারা ব’/ন্দী হিসেবে আছেন তাদের সাথে সময় কাটাতে স্ত্রী/স্বামীর জন্য সুযোগ থাকা উচিত। তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে তার ফে’সবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন: আমি একজন ব’/ন্দী’র এই সম্পর্কিত অধিকার সম্পর্কে বিবেচনাপ্রসূত দৃষ্টিকোন থেকে দুটি প্র’স্তাব তুলে ধরতে চাই। একজন ব’/ন্দী, যাকেই অ’ভি/’যুক্ত বা দো’/ষী সা’ব্য/’স্ত করা হোক না কেন, মৌলিক মা’নবাধিকার থেকে ব’/ঞ্চি’ত করা যায় না। কেউ নেই যে এর সাথে একমত নন।
বিবাহিত ব’/ন্দি’র নৈতিক ও চারিত্রিক অ’/ধ:’পতন রো/ধ এবং মানসিক বিকাশের প্রয়োজনে স্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট জে’/ল’কো’/ড ও শর্তাবলী অনুসরণ করে নির্ধারিত বিরতিতে স্ত্রীর সাথে একা’ন্তে সময় কা’টানোর সুযোগ থাকা উচিত বলে মনে করেন বেশিরভাগ ইসলামিক স্কলারগণ। এর অন্যতম একটি কারণ হলো, স্বামীর অ’/প’রা’/ধের কারণে স্ত্রীকে জৈ’বিক প্রয়োজন মেটানোর অধিকার থেকে ব’/ঞ্চি’/ত করা ন্যয়সঙ্গত হতে পারে না। ব’/ন্দি’কে নির্দিষ্ট শর্ত ও জে’/লকো’/ড এবং স্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া উচিত। ব’/ন্দি’ যদি না’রী হন তবে সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
সৌদি আরবসহ পৃথিবীর বহু দেশে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রচলিত আছে। কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, স্পেনসহ অনেক দেশে এ নিয়ম আছে। ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্টের ২০১৫ সালের একটি রা’/য়ের পর থেকে এ নিয়ম চালু আছে। তুরস্কে কোনো ক’/য়ে’দি/র সুন্দর আচরণ, শৃংখলা ও সার্বিকভাবে ভালো পারফরমেন্স হলে তাদেরকে এ সুযোগ দেওয়া হয়। এতে ব’/ন্দি’র মানসিক বিকাশ ও চিন্তাগত সুস্থতার পথ সুগম হয় এবং চা’রিত্রিক স্খ’/ল’নের পথ রু’/দ্ধ হয়।
শিকাগোর নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্রি’মি/নাল ল এন্ড ক্রি’মিনলজি বিষয়ক জার্নালে ১৯৫৮ সালে রুথ শনলে ক্যাভেন এবং ইউজেন এস জেমান-এর যৌথ আর্টিক্যাল Marital Relationship of Pris’/oner of 28 Countries এ কয়ে’/দি’/দের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করার গুরুত্ব উপস্থাপন করে এ বিষয়ে উপরিউক্ত তথ্য দিয়েছেন।
কেউ বলতে পারেন, জে’/লে এ সুবিধা থাকলে আর ব’/ন্দি’/ত্বের মানে কি থাকে? এর উত্তর হলো, ব’/ন্দি’/ত্ব একটি সা’/জা। একজন ব’/ন্দি’র সা’/জা’ভো’/গের পাশাপাশি মৌলিক মানবিক প্রয়োজনগুলো পূরণের সুযোগ যেমন দো’/ষ’নী/’য় নয় এটিও দো’/ষের নয়। বিশেষ করে এর সঙ্গে যেহেতু অন্যের অধিকার সংশ্লিষ্ট। জে’/লে’ সন্তা’নাদি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সা’ক্ষাতের সুযোগ যেমন ন্যায্য এটিও তেমন ন্যায্য।
সেই সাথে ব’/ন্দি’/’দে’র মানসিক ও আদর্শিক পরিচর্যার প্রয়োজনে প্রতিটি জে’/লে সুন্দর জীবন বিষয়ে আলোচনা ও মোটিভেশনাল স্পীচের ব্যবস্থা থাকা উচিত। কারণ ব’/ন্দি জীবনের অবসরে মানুষ সবচেয়ে বেশি চিন্তা-ভাবনা ও আত্মশুদ্ধির সুযোগ পায়। সৌদি আরবের প্রতিটি জে’/লে ’শুঊনুদ্দীনিয়্যাহ’ বা ধ’/র্মীয় এ্যফেয়ার্স বিভাগ আছে। এ বিভাগ কয়ে’/দি’/দেরকে প্রাত্যহিক, সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বাৎসরিক আলোচনা ও ধ’/র্মীয় বই পুস্তক বিতরণসহ নানা ধরণের আয়োজন করে থাকে।
আমি যখন সৌদি আরবে দোভাষী এবং অনুবাদক হিসাবে কাজ করছিলাম, তখন সেখানে বিভিন্ন কা’/রা’/গা’রে সপ্তাহে একবার হলেও বাংলাদেশি ব’/ন্দী’দের জন্য বিভিন্ন মানবিক আলোচনা ও পরামর্শদান করা আমার দায়িত্ব ছিল। আমি এর দু’র্দা/ন্ত প্রভাবগুলি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি। ইংল্যান্ড সহ অনেক দেশগুলিতে এই নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মটি যদি বাংলাদেশে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয় তবে ব’/ন্দী’/রা যারা রয়েছেন তাদের মানসিক বিকাশ এবং তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবার পথ আরও সহজ হবে এবং দেশের অ’/প’রা’/ধ প্রব’ণতাটাও নেমে আসবে, বলেই আমার ধারনা।
খবর কালেরকন্ঠের।