মুক্তমত
Hits: 976
ভারত-বাংলাদেশ প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে অকৃত্রিম বন্ধুর্তপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও একে অন্যের প্রতি নানা ভাবে সাহায্যে-স হযোগিতা করে থাকে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে পানি বন্টন নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে নানা ধরনের মতবাদ রয়েছে।েই পানি বিরোধ প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
প্রতিবেশী দেশ ভারত খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে পানি আটকে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। রোববার (১৬ মে) দুপুরে ফারাক্কা দিবস (মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ) উপলক্ষে ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সাকি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা তিস্তা অভিমুখে রোডমার্চ করেছিলাম। এর আগেও হয়েছিল। কাজেই এই আন্দোল অব্যাহত আছে। টিপাইমুখ বাঁধের সময়ও আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোল করেছি। এই আন্দোলনগুলো বাংলাদেশে আছে।
তিনি আরও বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার এই পরিকল্পনা ব্রিটিশ আমল থেকেই ছিল। তখনও বাঙালি প্রকৌশলীরা বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সাতচল্লিশের পর তারাই আবার এটাকে রাজনৈতিক কারণে সমর্থন দিয়েছে। স্বাভাবিক প্রবাহ নদী রক্ষার জন্য যেমন প্রয়োজন, নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের জন্যও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভারত খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে আমাদের পানি আ/ট/কে রেখেছে। কাজেই এর সমাধান তাদেরকেই করতে হবে। বাংলাদেশের এখানে কিছুর করার নেই। নদীর পানি পাওয়ার অধিকার আমাদের প্রাকৃতিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমরা পাচ্ছি না। রাজনৈতিকভাবেই এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের বৈঠক হয়েছে পানির সংকট নিরসনের জন্য। তবে এর কোন সুফল মেলেনি। ভারতের পক্ষথেকে নানা ধরনের আশ্বাস বাংলাদেশ পেলেও তা কার্যকর হয়নি। এদিকে পানি চুক্তির সমযোতা না হওয়ায় বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ফসল উৎপন্নর ক্ষেত্রে বেশি বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।